বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে হাসান জুয়েলঃ গত ১৫ই আগষ্ট সোমবার বীরগঞ্জ থানা পুলিশ সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ঐ দিন বিকালে নীলফামারী সদর থানাধীন চক দুবলিয়া হতে ভিকটিমের বড় ভাই উক্ত লাশ তার ছোট ভাই অবিনাশ রায়ের(২৭)বলে সনাক্ত করে এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। গত ২৩ আগষ্ট রাতে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ খানসামা থানার পাকের হাট হতে সন্দেহ ভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জিঙ্গাসাবাদ কালে ব্যক্তিদয় আলোচ্য হত্যার দায় স্বীকার করে।
বীরগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিং কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খোদাদাদ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন শিশির চন্দ্র (১৯),পিতা সাগর চন্দ্র, সাং যতরঘু, থানা চিরির বন্দর, মোঃ রাশেদুল উসলাম রাশেদ (২২), পিতা ইশাহাক, সাং আঙ্গার পাড়া,থানা-খানসামা, জেলা দিনাজপুর।
গ্রেফতারকৃতদের জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম অবিনাশ রায় একজন অসুস্থ সহজ সরল এবং শারিরিক ভাবে দুর্বল অটো চালক তাই আমরা তাকে হত্যা করে ব্যাটারী চালিত অটোটি নেয়ার পরিকল্পনা করি। গত ১০ আগষ্ট সকালে শিশির ভিকটিম অবিনাশের অটোতে করে বরুয়া থেকে পাকের হাট আসে, পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশেদকে অটোতে উঠিয়ে নেয়। এরপর অটো যোগে তিন জন বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে যায়। সেখানে উদ্যানের ভিতরের রাস্তায় অটো রেখে জঙ্গলের গভীরে গিয়ে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অবিনাশের গলায় রশি পেচিয়ে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। লাশ জঙ্গলে ফেলে অটো নিয়ে রানির বন্দর গিয়ে অটোটি বিক্রি করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী রানির বন্দর হতে অটোটি উদ্ধার করা হয়। শিশির ও রাশেদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply